সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

টীকা লেখো: কেন্নানের বেষ্টনী নীতি।

কেন্নানের বেষ্টনী নীতি প্রেক্ষাপট: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়াতে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন জর্জ কেন্নান। এক টেলিগ্রামে (৮ হাজার শব্দবিশিষ্ট) তিনি সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান স্ট্যালিনের যুদ্ধ পরবর্তী রুশ সম্প্রসারণ নীতি সম্পর্কে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেন। পরবর্তী সময়ে কেন্নান Memoris, (1925-50) ও American Diplomacy (1900-58) এই দুই গ্রন্থে কেন্নান সোভিয়েত সম্প্রসারনের চরিত্র ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাঁর বেস্টনী নীতির প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেন। পরিচিতি ও উল্লেখ: সোভিয়েত সাম্যবাদের চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে মার্কিন বিদেশনীতির উপদেষ্টা জর্জ কেন্নান (George Kennan) সোভিয়েত সম্প্রসারণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে যে পদ্ধতি উল্লেখ করেন, তা বেষ্টনী নীতি বা ‘Policy of Containment’ নামে পরিচিত। ট্রুম্যান নীতি ঘোষণার পর ‘Foreign Affairs’ পত্রিকা (চতুর্থ সংখ্যা)-তে ‘Mr. X’ ছদ্মনামে এক প্রবন্ধে জর্জ কেন্নান (Containment) (বেষ্টনী) শব্দের উল্লেখ করেন ও এই নীতির ব্যাখ্যা করেন। (১৯৪৭ খ্রি., জুলাই)। মূল কথা: কেন্নান বলেন, সোভিয়েত রাশিয়া এই মুহূর্তে একটি রণক্লান্ত ও বিধ্বস্ত দেশ। রুশ জনগণও এ সম...

বার্লিন অবরোধ বা বার্লিন সংকট আলোচনা করো।

সূচনা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে পটসডাম সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জার্মানিকে সোভিয়েত রাশিয়া, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড এই চারটি দেশের কর্তৃত্বাধীনে চারটি পৃথক অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এখানে প্রতিটি রাষ্ট্র নিজেদের আলাদা উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চেয়েছিল। রাশিয়া চেয়েছিল তার অধিকার করা পূর্ব জার্মানিতে এক তাঁবেদার সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু মিত্রশক্তি চেয়েছিল তাদের অধিকার করা অঞ্চলগুলি নিয়ে পশ্চিম জার্মানি গঠন করতে। এর ফলে জার্মানি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় বার্লিন সংকট। বার্লিন অবরোধ বা বার্লিন সংকট বার্লিন অবরোধের পটভূমি : পটসডাম সম্মেলনে (১৯৪৫ খ্রি., ১৭ জুলাই থেকে ২ আগস্ট) চার বৃহৎশক্তিবর্গ (সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স) একজোট হয়ে বার্লিন সংকটের পটভূমি রচনা করে। সম্মেলনে ঠিক হয়— [1] ‘৫টি ডি’ প্রয়োগ: জার্মানির ওপর ‘৫টি ডি ’ (Five Ds) — demilitarisation (বেসামরিকীকরণ), deindustrialisation (অবশিল্পায়ন), decentralisation (বিকেন্দ্রীকরণ), democratization (গণতন্ত্রীকরণ), de-Nazification (অবনাৎসিবাদীকরণ) প্রয়োগ করা হবে।...

পাকিস্তানের আইন ও শাসনকাঠামো সম্পর্কে আলোচনা করো।

সূচনা: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ভারতবর্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের জাতির জনক মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বে স্বাধীন পাকিস্তানের রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে ওঠে। পাকিস্তানের আইন ও শাসনকাঠামো [1] কেন্দ্রীয় আইনসভা : স্বাধীন পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় আইনসভায় দুটি কক্ষ রয়েছে— একটি উচ্চকক্ষ এবং অন্যটি নিম্নকক্ষ।  [i] উচ্চকক্ষের নাম হল সিনেট। সিনেটের আসনসংখ্যা ১০০। এর মধ্যে ৮৮ জন চারটি প্রদেশ থেকে এবং অবশিষ্ট ১২ জন ইসলামাবাদ ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন। সিনেটে ২০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়।  [ii] নিম্নকক্ষের নাম হল জাতীয় সভা। জাতীয় সভার আসনসংখ্যা ৩৪২। এর মধ্যে মহিলারা অন্তত ৬০টি আসনে এবং অমুসলিমরা ১০টি আসনে নির্বাচিত হতে পারে। [2] রাষ্ট্রপতি : রাষ্ট্রপতি হলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধান।  [i] আইনসভার দুটি কক্ষের সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি নির্বাচক সংস্থা রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচিত করেন।  [ii] রাষ্ট্রপতি হলেন পাকিস্তানের নিয়মতান্ত্রিক শাসক। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে ...

সার্ক (SAARC) প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট আলোচনা করো । সার্ক-এর উদ্দেশ্য কী ছিল ?

‘সার্ক’ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট [1] জিয়াউর রহমানের শ্রীলঙ্কা সফর : দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে নিয়ে কোনো আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ সর্বপ্রথম ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়। এ বিষয়ে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেন স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (১৯৩৬-১৯৮১ খ্রি.)। তিনি ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে শ্রীলঙ্কা সফরকালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে একটি আঞ্চলিক সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন এবং নিজে সক্রিয় উদ্যোগ নেন। [2] সার্ক গঠনের সিদ্ধান্ত : দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে নিয়ে একটি সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীগণ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হন। পরবর্তী কয়েক বছরে কলম্বো (১৯৮১ খ্রি.), কাঠমান্ডু (১৯৮১ খ্রি.), ইসলামাবাদ (১৯৮২ খ্রি.), ঢাকা (১৯৮৩ খ্রি.) প্রভৃতি স্থানে একাধিক সম্মেলনে মিলিত হন। অবশেষে এসব দেশের বিদেশমন্ত্রীগণ ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের দিল্লি সম্মেলনে সমবেত হয়ে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (South Asian Association for Regional Coo...

স্বাধীন ভারতের প্রথম তিনটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্য ও গুরুত্ব লেখো।

সূচনা:  ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু (কার্যকাল: ১৯৪৭-৬৪ খ্রি.)-এর উদ্যোগে ভারতে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হল সুসংহত ও সুপরিকল্পিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বিশেষ। স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারতেও বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং তা বর্তমানকালেও চালু আছে। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৫১-৫৬ খ্রি.) লক্ষ্য : [i] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও দেশভাগের প্রভাবে ভারতের ভেঙে পড়া অর্থনীতি মজবুত করে তোলা। [ii] দেশের মুদ্রাস্ফীতি দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা। [iii] উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি করা। [iv] রাস্তাঘাট তৈরি, সেচের প্রসার, বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রভৃতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি দ্রুততর করা। [v] খাদ্য ও কাঁচামালের সংকট দূর করা। [vi] ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটানো। গুরুত্ব : কিছু ত্রুটি সত্ত্বেও প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বিভিন্ন গুরুত্ব ছিল। [1] এই পরিকল্পনার ফলে ভারতের জাতীয় আয় ১৮ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ১০.৮ শতাংশ, কৃষি উৎপাদন ২২ শতাং...

জোটনিরপেক্ষ নীতি কী ? জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব লেখো।

জোটনিরপেক্ষ নীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে একদিকে সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সাম্যবাদী বা সমাজতান্ত্রিক জোট, অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পুঁজিবাদী বা ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠিত হয়। এই দুই জোটের কোনোটিতেই যোগ না দিয়ে, স্বাধীনভাবে উভয় জোটের সঙ্গেই বন্ধুত্ব বা সমদূরত্ব বজায় রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে বৈদেশিক সম্পর্ক পরিচালনার নীতি জোটনিরপেক্ষ নীতি নামে পরিচিত। জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের কারণ বা উদ্দেশ্য  মার্কিন নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাদী জোট ও সোভিয়েত নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী জোটের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব থেকে উদ্ভূত ‘ঠান্ডা লড়াই'-এর আর্বত থেকে নিজেকে দূরে রেখে, জাতীয় স্বার্থ ও নবলব্ধ স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য ভারত জোটনিরপেক্ষ বিদেশনীতি গ্রহণ করে। ভারতে জোটনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের কারণগুলি হল— [1] ভৌগোলিক সুরক্ষা : এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে এমন একটা জায়গায় ভারতের অবস্থান যা তাকে মধ্যপ্রাচ্য। ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী দেশে পরিণত করেছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, চিন, ব্রহ্মদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ...

দাঁতাত কী ? দাঁতাত উদ্ভবের কারণ ও গুরুত্ব আলোচনা করো।

দাঁতাত ‘দাঁতাত’ (Detente) একটি ফরাসি শব্দ। এর অর্থ হল উত্তেজনা প্রশমন (relaxation of tension)। ১৯৭০-এর দশকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঠান্ডা লড়াই ক্রমশ স্তিমিত হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক ইতিহাসে এই পর্বটি ‘ দাঁতাত’  নামে পরিচিত। অর্থাৎ পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুপরিকল্পিত নীতি হল ‘দাঁতাত’। হেনরি কিসিংগারের মতে, দাঁতাত হল প্রত্যক্ষ সামরিক সংঘাত এবং সর্বোপরি পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোর লক্ষ্যে চিরাচরিত প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় গুরুত্ব আরোপ। দাঁতাতের উদ্ভবের কারণসমূহ [1] অস্ত্র হ্রাস সম্পর্কিত সম্মেলন : পারমাণবিক যুদ্ধ ভীতি রাশিয়া এবং আমেরিকা দুই দেশকে পরস্পরের কাছাকাছি আনে। ঠান্ডা লড়াইয়ের অবসানে যে শীর্ষ সম্মেলনগুলির ভূমিকা ছিল সেগুলি হল—রুশ-মার্কিন জেনেভা শীর্ষ বৈঠক (১৯৮৫ খ্রি. ১৯ নভেম্বর), ওয়াশিংটন শীর্ষ সম্মেলন (১৯৮৭ খ্রি. ডিসেম্বর), মস্কো শীর্ষ বৈঠক (১৯৮৮ খ্রি., ২৯মে), মাল্টা শীর্ষ বৈঠক (১৯৯০ খ্রি. ৯ সেপ্টেম্বর), প্যারিস শিখর সম্মেলন (১৯৯০ খ্রি. ১৯ নভেম্বর), মস্কো শীর্ষ বৈঠক (১৯৯১ খ্রি. ৩০ জুলাই) ইত্যাদি। তবে ...

কোরিয়া সংকট বা কোরিয়া যুদ্ধের বর্ণনা দাও।

ভূমিকা : মাও জে দঙ্-এর নেতৃত্বে চিনে প্রজাতন্ত্র গঠিত হওয়ার (১৯৪৯ খ্রি., অক্টোবর) ৯ মাস পরে কোরিয়ার যুদ্ধ শুরু হয় (১৯৫০ খ্রি., ২৫ জুন)। ১৯৪৫ সালে কোরিয়াবাসীর অনুমতি ছাড়াই কোরিয়াকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করা হয়েছিল। ৩৮° অক্ষরেখাকে দুই কোরিয়ার মধ্যে সীমারেখা হিসেবে ধার্য করা হয়। কায়রো সম্মেলনে (১৯৪৩ খ্রি.) কোরিয়াকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপরে যথাক্রমে সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আধিপত্য কায়েম করলে কোরিয়া সংকট তীব্র হয়ে ওঠে। ঐতিহাসিক ডি. এফ. ফ্লেমিং তাঁর 'দ্য কোল্ড ওয়ার অ্যান্ড ইটস অরিজিন' গ্রন্থে লিখেছেন— মার্কিন নাগরিকদের কাছে কোরিয়ার যুদ্ধের উদ্‌বর্তপত্র অত্যন্ত নেতিবাচক ছিল। সংকটের সূত্রপাত: কোরিয়া ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই জাপানের কর্তৃত্বাধীন ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে মার্কিন সেনা ও সোভিয়েত লালফৌজ জাপানের হাত থেকে কোরিয়াকে মুক্ত করে। অবশেষে জাপান সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হলে ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ৩৮° অক্ষরেখা বরাবর উত্তরাংশে সোভিয়েত রাশিয়ার ও দক্ষিণাংশে আমেরিকার নিয়ন্ত্র...