সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফরাসী বিপ্লবে রুশোর অবদান কি ছিল

জাঁ জ্যাক্স রুশো ফরাসী জ্ঞানদীপ্তির এক কালজয়ী প্রতিনিধি জাঁ জ্যাক্স রুশো (১৭১২-১৭৭৮)। তিনি সমসাময়িক সামাজিক ব্যবস্থার এক তিক্ত সমালোচক ছিলেন। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ-"Discourse on the Origin of Inequality" প্রকাশিত হয় ১৭৫৫ সালে। এই গ্রন্থে তিনি বলিষ্ঠ যুক্তির মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন যে, সমস্ত মানবসমাজই দুর্নীতিগ্রস্ত, কারণ সেখানে মানুষ একে অপরের ওপর প্রভুত্ব করতে চায়। এমনকি ফ্রান্সের মতো অগ্রসর সমাজেও মানুষের প্রকৃতি নষ্ট করে দিয়েছে তার অহংকার ও স্বার্থপরতা। ১৭৬২ সালে প্রকাশিত "Discourse on the Arts and the Science" গ্রন্থে রুশো লিখেছিলেন যে, সভ্যতার অগ্রগতি মানুষের স্বাভাবিক ভালোত্বকে নষ্ট করেছে; আর এটাই রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তার মৌলিক নীতি। রুশো আন্তরিক ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধির প্রবল আকাঙ্খা ও তীব্র প্রয়াস সমাজে সম্পদের বৈষম্য বাড়িয়ে তোলে, আর সেটাই মানবসামাজের সমস্ত খারাপের উৎস।  জাঁ জ্যাক্ রুশো ১৭৬২ সালে প্রকাশিত হয় রুশোর বিখ্যাত গ্রন্থ "Social Contract"। এখানে তিনি লেখেন- "মানুষ জন্মগত স্বাধীন এবং সর্বত্রই সে শৃঙ্খলে আবদ্ধ...

পলাশি ও বক্সারের যুদ্ধের ফলাফলের তুলনামূলক আলোচনা কর।

পলাশি ও বক্সারের যুদ্ধের ফলাফলের তুলনামূলক আলোচনা  পলাশির যুদ্ধে ১৭৫৭, ২৩ জুন ভাগীরথীর তীরে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লার সাথে ক্লাইভের নেতৃত্ব ইংরেজদের যে লড়াই হয়েছিল তা ভারত ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে সিরাজের পরাজয়ের ফলে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য প্রায় ২০০ বছরের জন্য অস্তমিত হয়। তাই এই যুদ্ধের ফলাফল ছিল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। এই পলাশির যুদ্ধের ফলাফল বা গুরত্বগুলি হল- পলাশির যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যা ও ব্যাপকতার দিক থেকে এটি ছিল একটি খণ্ডযুদ্ধ মাত্র। এই যুদ্ধে নবাবের পক্ষে ৫০০ জন এবং ইংরেজদের পক্ষে মাত্র ২২জন সেনার মৃত্যু হয়। পলাশির যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যা ও ব্যাগপকতার দিক থেকে এটি ছিল একটি খণ্ডযুদ্ধ মাত্র। মীরজাফর ব্রিটিশ সাথে মিলে নবাবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। এই যুদ্ধে হেরে ভারতের পূর্বদিকে সমৃদ্ধ অঞ্চল বিদেশিদের অধীনে গেল। ইংরেজরা ভারতে বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে পড়ে। তারা নৃপতি বানানোর চেষ্টায় উদ্যত হয়। নিজেদের অনুগত মানুষকে বাংলার সিংহাসনে বসিয়ে বাংলা থেকে বিপুল অর্থ ইউরোপে পাঠাতে শুরু করে। According to Tarachand, "The defeat of plassey e...

পূর্ব ইউরোপের সোভিয়েতীকরণের উদ্দেশ্য কি ছিল? বিভিন্ন দেশে এর কি প্রভাব পড়েছিল?

পূর্ব ইউরোপে রুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠাঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানে সোভিয়েত রাশিয়ার লালফৌজ পূর্ব ইউরোপীয় অঞ্চল জার্মানির হাত থেকে মুক্ত করে সেখানে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়া এসব অঞলে কমিউনিস্ট ভাবাদর্শের প্রসার ও রাশিয়ার অনুগত কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রাশিয়া তার ভূখণ্ড সংলগ্ন লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া প্রভৃতি ছোটো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলিকে সরাসরি রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে। এ ছাড়া পূর্ব ইউরোপের যুগোশ্লাভিয়া, চেকোশ্লোভাকিয়া, বুলগেরিয়া, আলবেনিয়া, হাঙ্গেরি, রুমানিয়া, পোল্যান্ড ও পূর্ব জার্মানি—এই আটটি দেশে রুশ-অনুগত কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। রুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেঃ পূর্ব ইউরোপে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পিছনে রাশিয়ার যেসব উদ্দেশ্যগুলি ছিল তা হল- [১] সাম্যবাদী আদর্শের প্রসার: স্ট্যালিন মনে করতেন যে, সকল বিজেতাই বিজিত অঞ্চলের ওপর নিজেদের মতাদর্শ ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই পূর্ব ইউরোপের বিজিত অঞ্চলে রাশিয়ার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা যুক্তিসংগত। এজন্য সাম্যবাদী ভাবধারার ধারাবাহিক প্রসারের জন্য এই অঞ্চলে র...